মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান
প্রায় তিন যুগ পূর্বে (১৩৯১ এর ২রা বৈশাখ তারিখে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ‘বাঙ্ময় উচ্চারচর্চা প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে কণ্ঠশীলনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। সময়ের ধারাবাহিকতায় ‘শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ এবং ‘সাহিত্যের বাচিক চর্চা ও প্রসার প্রতিষ্ঠান’ নামে পরিচিতি পায় প্রতিষ্ঠানটি।
কণ্ঠশীলনের মূল লক্ষ্য বাংলা সাহিত্যকে এই দেশের মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া এবং শিক্ষিত সকল মানুষকে একক মান মৌখিক ভাষা নিয়ে আসা। বর্তমানে আবৃত্তি ও মঞ্চনাটক প্রযোজনার একটি বড় সংগঠন হিসেবে কণ্ঠশীলন তার আসন দৃঢ় করেছে। বাংলা ভাষার উৎকৃষ্ট গ্রন্থাবলি সাধারণ শ্রোতা/দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাচিক প্রয়োগ উদ্যোগী হয়ে ইতোমধ্যে প্রায় একশটি পূর্ণাঙ্গ আবৃত্তি প্রযোজনা সফলভাবে মঞ্চায়ন করেছে সংগঠনটি। একইসাথে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানভুক্ত সংগঠন হিসেবে কণ্ঠশীলন নিয়মিত মঞ্চনাটক প্রযোজনা মঞ্চায়ন করে যাচ্ছে।
শুদ্ধ উচ্চারণ ও সুন্দরভাবে কথা বলার আধুনিক শিক্ষা ও চর্চার ব্রত নিয়ে শুরু হওয়া এই প্রতিষ্ঠানটি আজ বাংলা ভাষা চর্চার এক পিঠস্থানে পরিণত হয়েছে। এ পর্যন্ত আটানব্বইটি আবর্তনের (কোর্স) সমাপন ঘটেছে শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি শিক্ষালয়ের। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছে নবনবতি (৯৯) আবর্তন, আর ২০২১ এর মার্চে শুরু হতে যাচ্ছে শততম আবর্তন। কোর্স উত্তীর্ণ কণ্ঠশীলন শিক্ষার্থীবৃন্দ দেশের বিভিন্ন প্রচার ও গণমাধ্যমে দায়িত্বশীল পদে সম্পৃক্ত হয়ে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছেন।